সংগঠনের শক্তি বাড়াতে ঈদে নির্বাচনী প্রচারণায় থাকবে এনসিপি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৬ জুন ২০২৫, ২০:২৪

রাজনৈতিক দল গঠনের পর দ্বিতীয়বার ঈদকেন্দ্রিক প্রচারণার সুযোগ পেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ব্যক্তিগত কারণে কিংবা জীবিকার তাগিদে যারা দেশের বাইরে অবস্থান করেন, তাদের অনেকেই ঈদের সময় দেশে আসেন। ঈদকেন্দ্রিক পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ নিজ এলাকায় সময় কাটান। এই সুযোগ কাজে লাগাতে এবার ঈদের ছুটিকালীন অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো এনসিপি নেতারাও সারাদেশে জনসংযোগ করবেন। সেই জনসংযোগে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
এনসিপির দলীয় সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয়ভাবে দলের সব নেতাকে নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করতে বলা হয়েছে। অভ্যুত্থানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে আগামীতে এমসিপি ক্ষমতায় গেলে কী ধরনের উন্নয়ন দেশের জন্য করবে, তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কার নতুন বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলোও যেন জনসংযোগে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা হয় সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, ঈদকেন্দ্রিক প্রতিটি এলাকায় বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে আলাদা আমেজ তৈরি হয়। এসময় সব শ্রেণিপেশার মানুষ নিজ নিজ এলাকায় একত্রিত হন। এ সময়টাতে জনসংযোগ করলে সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সহজ। এজন্য দলীয় নেতারা ঈদের সময় নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করবেন এবং জনসংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে এনসিপির রাজনৈতিক বিষয়বস্তু তুলে ধরবেন।
এরই মধ্যে দলটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে কমিটি ঘোষণা করা হবে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও জনসংযোগ চালাতে বলা হয়েছে।
ঈদ ঘিরে জনসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন জাগো নিউজকে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে জনমত গঠন করবো। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সদস্যপদ ফরম সারাদেশে চলে গেছে। এর মাধ্যমে সদস্যদের দলের সঙ্গে যুক্ত করবো। ঈদকেন্দ্রিকও জেলা-উপজেলার কমিটি গঠনের কাজ চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, সাংগঠনিক বিস্তার আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। জনমত গঠনে লিফলেট বিতরণ চলবে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমরা জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলছি। কোন কোন জায়গায় সংস্কার দরকার, আমরা চাই সবাই মিলে সেখানে একমত হোক। ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নির্বাচনই হবে একমাত্র লক্ষ্য। এবার ঈদে সাংগঠনিক বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করবে এনসিপি।