১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী

সচিবালয় অভিমুখে যাত্রায় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ জুন ২০২৫, ১৮:৪৯

তিন দফা দাবি আদায়ে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা সচিবালয় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের দিকে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রোববার (১৫ জুন) প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকে এ ঘটনা ঘটে। সকালে শিক্ষকরা ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে রওয়ানা হন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে আন্দোলনকারীদের প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া এ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সচিবালয় অভিমুখে তাদের লংমার্চ কর্মসূচি ছিল। সকাল থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করেন প্রেস ক্লাবের সামনে। এরপর হঠাৎ দুপুর দেড়টায় তারা এখানে আসেন। আমি জেনেছি যে, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭তম নিবন্ধনধারীরা।
তিনি আরও বলেন, ওনাদের পাঁচজনকে সচিবালয়ে পাঠিয়েছিলাম। যেন সচিবালয়ের গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে তাদের বিষয়গুলোর আপডেট জেনে আসুক। তো তাদের এই পাঁচজন গেছে। যাওয়ার পরে ওই পাঁচজন মনে হয় ওখানে তারা এরকম বলছেন যে, এখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওখান থেকে যাবেন না তারা বা এর বাইরে আর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, তারা আবার লিংক রোডে চলে আসেন, লিংক রোডে যথারীতি আমাদের একটা ব্যারিকেড আছে। ব্যারিকেডটা যখন ভাঙার চেষ্টা করে তখন পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়, ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু এরপরও তারা মানছিল না, একটু বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল।
মাসুদ আলম বলেন, সচিবালয়ে তো আমরা আসলে যেতেও দিতে পারি না। ওখানে তো ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক-দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দু-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা যে দাবিগুলো তুলেছন সেগুলো হলো
১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।