রাখাইনে জরুরি খাদ্য ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ জুন ২০২৫, ১৮:৫১

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গৃহযুদ্ধ এবং খাদ্য সংকটের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জরুরি খাদ্য ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
একই সঙ্গে সরকারকে জাতিসংঘ, রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার সহায়তায় এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে দ্রুত খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবি জানানো হয় নোটিশে।
রোববার (১৫ জুন) রেজিস্ট্রি ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে অসংখ্য নারী, শিশু ও নিরীহ সাধারণ মানুষ মানবেতর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তারা দুর্ভিক্ষ ও রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ছে।
বিশ্ব গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাখাইনের বহু এলাকায় খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে। বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং পিছিয়েপড়া আদিবাসী জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যা আমাদের জাতীয় সম্পদ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ভারসাম্যের ওপর বিপুল চাপ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা না পৌঁছালে নতুন করে আবারও রোহিঙ্গা জনগণের বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
নোটিশে বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের নীতিমালা অনুসারে Oppressed Peoples তথা নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব বহন করে।
এমতাবস্থায়, সরকারকে জাতিসংঘ, রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার সহায়তায় এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে দ্রুত খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে হবে।
নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে জনস্বার্থে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিকট রিট আবেদন করা হবে।