ফেনীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি প্রতিহতের গুজব উঠলেও এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল সাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে আগামীকাল (২১ জুলাই) ফেনীতে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করা হবে। এটির সঙ্গে জেলা বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এসব গুজব যারা ছড়াচ্ছেন আমরা দ্রুত তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমাদের ধারণা তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর। মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে শান্ত ফেনীকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কেউ যদি এ ব্যাপারে কোনো উস্কানিমূলক মতামত দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দুপুরে এনসিপি নেতৃবৃন্দকে ফেনীতে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সদস্যসচিব নুর আলম সোহাগ। উপজেলার জিরো পয়েন্ট কয়েকজনের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে গেল বছরের বন্যার সময়ে টিএসসিতে গণ-ত্রাণ কর্মসূচির অর্থ ফেনীতে ব্যয় না করে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘ত্রাণের ১২ কোটি টাকা নিয়ে ফেনীর মানুষ ক্ষুব্ধ। সাধারণ মানুষ কিছু করলে সেই দায় আমরা নেবো না।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, ‘বন্যার সময় তোলা টাকা তখনই উপদেষ্টার তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদনও রয়েছে। তারপরও অনেকে এটিকে ঘিরে বিতর্ক করার চেষ্টা করছে। অনেকে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করছি।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। ফ্যাসিস্টদের দোসররা মিথ্যা গুজব ছাড়াচ্ছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কেউ যদি উস্কানি দেয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’