অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যে দলগুলো বেশিরভাগ ভোটার, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কথা না শুনে কাদের কথায় পিআর পদ্ধতি দিতে চাচ্ছেন না। সেজন্য আমরা বলেছি, গণভোট দেন, গণভোটে যদি জনগণ পিআর চায়, তাহলে সব দলকে মানতে হবে। যদি জনগণ বলে পিআর লাগবে না, তাহলে আমরাও (জামায়াত) সেটাকে শ্রদ্ধা করি।
এগ্রিকালচারিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (এএফবি) উদ্যোগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটের থ্রিডি হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন। সংগঠনের সভাপতি ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম মাহবুব ই ইলাহী (তাওহীদ) সভাপতিত্বে সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন মহাসচিব কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদ।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা এখনো সংশয়ের মধ্যে আছি। সরকার গতকাল (বুধবার) আমাদের কাছে একটা খসড়া চেয়েছে যে, এটার আইনি পথ দেখান। গতকাল রাতেই আমরা মিটিং করে একটা ড্রাফট তৈরি করেছি। আমরা সবসময় সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজি আছি, আমরা কোনো সংকট চাই না।
তিনি বলেন, পিআর হলে কালো টাকা হবে না, পেশিশক্তি দেখানো যাবে না, সব দলের পার্লামেন্ট হবে, রিচ পার্লামেন্ট হবে। ছোট ছোট দলগুলোও পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে। এক পার্সেন্ট ভোট যে পাবে, সে দলও তিনটা আসন পাবে। এখন কেউ যদি মনে করে, এতগুলো দল পার্লামেন্টে আসলে... আমার একার কর্তৃত্ব সব... আমি একা খাব। একটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ হোক, সবার অংশীদারিত্বে জনগণের সরকার দেশ চালাক এটা যারা চায় না, তারাই পিআরের বিরোধিতা করে। সুতরাং, জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে যাব অবশ্যই, কিন্তু তার আগে পিআরের দাবি পূরণ করে ইনশাল্লাহ আমরা নির্বাচনে যাব। এ দাবি আমাদের চলতেই থাকবে। আমাদের দাবি মানতে হবে, তারপরে আমরা নির্বাচনে যাব। সবাইকে বাদ দিয়ে যদি, একই নির্বাচন করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ সেটা আর হতে দেবে না। একাই নির্বাচন করবেন, ওই চিন্তা করে আর ঘুম নষ্ট করার দরকার নেই।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বহুকষ্টের বিনিময়ে আমরা দেশ সংস্কারে সুযোগটা পেয়েছি। কোনো দলীয় সরকার আসলে আর সংস্কারের সুযোগটা আমরা পাব না। ইতোমধ্যে একটি দলের স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেছেন, আপনার যত সংস্কার আইন-কানুন বদলান, আমরা ক্ষমতাই আসলে সব মুছে দেব।’
বিএনপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যাওয়ার আগেই যদি মুছে দেন, তাহলে ক্ষমতায় গেলে কী করবেন।