ইন্টারনেটের দাম সাশ্রয়ী করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলের ইন্টারনেটের দাম কেমন ছিল এবং বর্তমানে কমিয়ে কত টাকায় সেবা দেওয়া হচ্ছে, তা তুলে ধরেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলের শেষে ২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী- প্রতি এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৭ হাজার টাকা। বর্তমানে একই পরিমাণ ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০ টাকা। গ্রামীণ জনপদে এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে।
ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এর গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪০ লাখ থেকে বেড়ে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে প্রায় ১২ কোটি ৯২ লাখে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ডেনসিটি ৭৫.১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৮ সালে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নাগরিকরা সুফল ভোগ করছে জানিয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটির ওপরে। সারাদেশে ৯ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা রয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৪৪ জন নারী। ডাক বিভাগে আধুনিক করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, সারাদেশে সাড়ে ৮ হাজার পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছেন। এছাড়া যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময়ে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২ হাজার ৪০০ এর বেশি সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের ফলে গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ইন্টারনেটের দাম অনেক কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে।