গাজায় মার্কিন-ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ চায় ১৩০ সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০২ জুলাই ২০২৫, ০০:১৩

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ এর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ১৩০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা ও আরও কিছু এনজিও। যেসব সংস্থা বিতর্কিত এই সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধের দাবি করেছে তার মধ্যে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ও অ্যামনেস্টির মতো সংস্থাও রয়েছে।
সংস্থাগুলো বলছে, জিএইচএফ’র সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিয়মিতই গুলি চালাচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থকে জানা গেছে, মে মাসের শেষ দিকে এই সংস্থাটি গাজায় কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় চার হাজার মানুষ।
তবে ইসরায়েল তাদের সেনাদের ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্যগ্রহণকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জিএইচএফকে সমর্থন করে বলছে সংস্থাটি হামাসের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে যাদের সাহায্য দরকার সরাসরি তাদের সাহায্য দিচ্ছে।
এদিকে, জিএইচএফ’র বিতরণ করা আটার ব্যাগে শক্তিশালী মাদক অক্সিকোডন বড়ি পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ তোলে গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির সরকারি মিডিয়া অফিস এই ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ আখ্যা দিয়েছে ও এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জাতিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনার আশঙ্কা প্রকাশ করে।
এক বিবৃতিতে গাজা কর্তৃপক্ষ বলে, আমরা এখন পর্যন্ত অন্তত চারজন নাগরিকের সাক্ষ্য রেকর্ড করেছি, যারা বিতরণকৃত আটার বস্তায় এই বড়িগুলো খুঁজে পেয়েছেন। তারা সতর্ক করে বলেন, সম্ভাবনা আছে যে এই মাদকদ্রব্যগুলো আটার মধ্যে গুঁড়ো বা দ্রবীভূত করে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অক্সিকোডন একটি শক্তিশালী ওপিওয়েড ওষুধ, যা সাধারণত ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি অত্যন্ত নেশার প্রবণতা সৃষ্টি করে ও অনিয়ন্ত্রিত সেবনে শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা, বিভ্রম ও এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই ১৫টি মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে জিএইচএফের কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান জানায়। তারা সংস্থাটিকে ‘আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে অকার্যকর করে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার কাজে সহায়তা করার’ অভিযোগ তোলে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ, মানববিরোধী অপরাধ বা জাতিগত নিধনের পর্যায়ে পড়ে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: বিবিসি