যুদ্ধের পর প্রথমবারের প্রকাশ্যে এসে ‘হে ইরান’ গাইতে বললেন খামেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৬ জুলাই ২০২৫, ২৩:৩২

১৩ জুন ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনতার সামনে উপস্থিত হয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। শনিবার (৬ জুলাই) তেহরানে একটি মহররম অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গণমাধ্যমের খবরে খামেনির উপস্থিতি বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। টেলিভিশনে তাকে দেখে সমর্থকদের আনন্দ প্রকাশের ফুটেজও দেখা গেছে।
প্রকাশিত ভিডিওতে খামেনিকে সিনিয়র ধর্মীয় নেতা মাহমুদ করিমির দিকে ফিরে বলতে শোনা যায়, তুমি যদি ক্লান্ত না হও, তবে ‘হে ইরান’ গানটি গাও।
পরে মাহমুদ করিমিকে দেশাত্মবোধক গানটি গেইতে দেখা যায়। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই দেশাত্মবোধক গান ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর খামেনির প্রথম জনসমক্ষে উপস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তার কার্যালয়ের একজন সদস্য বলেন, 'সর্বোচ্চ নেতার আগমনের সাথে সাথে হুসেইনিয়াহ (আবেগে) বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে... এই বিস্ফোরণের ঢেউ তেল আবিব এবং হোয়াইট হাউসে পৌঁছাবে - তাদের নেতার প্রতি জনগণের ভক্তি, ভালোবাসা এবং আকাঙ্ক্ষার এক শক্তিশালী ঢেউ।'
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরান প্রতিশোধ নেয়।
এরপর নয় দিন ধরে ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়ে যায় ইরান। ২২ জুন ভোরে মার্কিন ভারী বোমারু বিমানগুলো তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে এবং সংঘর্ষে প্রবেশ করে।
পরের দিন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক বিমানঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। মার্কিন কর্তৃপক্ষের মতে, কোনো হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি।
এরপর ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ইরান সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষও জানায়, তারা মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযানের সমস্ত উদ্দেশ্য সম্পন্ন করেছে। পরিবর্তে তেহরান বলেছে, তারা আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে তেল আবিবের ওপর বিজয় অর্জন করেছে।