এবার ইসরায়েল থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৯

দূরপাল্লার আক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএই) থেকে এয়ার লোরা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার কথা ভাবছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)।
বিমান ঘাঁটি এবং কমান্ড সেন্টারের মতো অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদকে লক্ষ্য করতে সক্ষম এয়ার লোরা ভারতীয় বিমান বাহিনীর অস্ত্রাগারে একটি বহুমুখী সংযোজন হতে যাচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর পরিচালনার সময় ইসরায়েলের র‍্যাম্পেজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের ১১টি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। র‍্যাম্পেজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল আক্রমণের পরপরই ইসরায়েলের আরেকটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে আগ্রহী ভারতীয় বিমানবাহিনী।
র‍্যাম্পেজ ২৫০ কিলোমিটার পরিসরে আঘাত হানতে সক্ষম অন্যদিকে এআইআর লোরা ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে যা শত্রু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাগালের বাইরে নিরাপদ দূরত্ব থেকে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
আইএইর এয়ার লোরাকে একটি দূরপাল্লার, বিশাল, সুপারসনিক অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, সু-রক্ষিত লক্ষ্যবস্তু যেমন বিমানঘাঁটি, কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, নৌ জাহাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এসইউ – থার্টি এমকেআই এর মতো আইএএফ প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণের ওজন ১,৬০০ কিলোগ্রাম।একবার নিক্ষেপ করার পরে এয়ার লোরা সুপারসনিক গতিতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
এয়ার লোরাতে ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট ডিজাইন রয়েছে। যার ফলে উৎক্ষেপণের পর বিমান থেকে আর কোনও ইনপুট নেয়ার প্রয়োজন হয় না। যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতা এবং সঠিক সময়ে লক্ষ্য পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
আইএইর দাবি এয়ার লোরা অতুলনীয় দক্ষতা এবং নির্ভুলতার সাথে অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে জিপিএস/আইএনএস নেভিগেশন এবং অ্যান্টি-জ্যামিং প্রযুক্তি রয়েছে। এআইআরের লোরা সমস্ত আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম। এছাড়া ব্লাস্ট ফ্র্যাগমেন্টেশন, জেনারেল-পারপাস এবং ডিপ-পেনিটেশন ভেরিয়েন্টের মতো একাধিক ওয়ারহেড কনফিগারেশনও এই ক্ষেপণাস্ত্রকে কৌশলগত মিশনের জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে।