ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান দাবি করেছেন, ইসরায়েল সম্প্রতি তার ওপর হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। গত মাসে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ মন্তব্য এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব টাকার কার্লসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা চেষ্টা করেছে। তারা সে অনুযায়ী পদক্ষেপও নিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমার জীবনের ওপর যে হামলা হয়েছিল, তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। এটি ছিল ইসরায়েল। আমি একটি বৈঠকে ছিলাম, তারা সেই জায়গা লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছিল।
গত ১৩ জুন ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন। এই হামলার মাত্র দুদিন পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ফলে হামলার ঘটনায় আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানে ৯০০ জনের বেশি নিহত হন বলে দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে। এর জবাবে ইরানের পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়*ইসরায়েলে অন্তত ২৮ জন নিহত হন।
এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের ফরদো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজের স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যে চিরস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান এবং যুক্তরাষ্ট্র যেন এই যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে।
তিনি বলেন, এটি আমেরিকার যুদ্ধ নয়, নেতানিয়াহুর যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রকে এতে জড়ানো উচিত নয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানান, তার দেশ আবারও পারমাণবিক আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক, তবে তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় ফিরতে চাই। কিন্তু কীভাবে নিশ্চিত হব, আলোচনা চলাকালীন আবার ইসরায়েলকে হামলার অনুমতি দেওয়া হবে না?
সূত্র: এএফপি