বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশকে নতুন শুল্কহারের চিঠি পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ তালিকায় নেই ভারত। তবে শুল্ক আরোপ নয়, ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে তিনি জানান।
সোমবার (৭ জুলাই) রাতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন ট্রাম্প। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। এর আগে আমরা যুক্তরাজ্য এবং চীনের সঙ্গে সফলভাবে চুক্তি সম্পন্ন করেছি।”
ট্রাম্প আরো বলেন, “যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক শর্ত মানতে প্রস্তুত নয়, তাদের জন্য আমরা শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছি। যারা আলোচনায় সহমত হয়নি, তাদের সঙ্গে আপাতত চুক্তি হচ্ছে না।”
এর আগে সোমবার রাতে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিশিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া এবং বসনিয়ার সরকারপ্রধানদের কাছে ট্রাম্প চিঠি পাঠিয়েছে।
এসব চিঠিতে আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসব দেশের পণ্যের উপর কত শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, তা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে, যদি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও শুল্ক আরো বাড়াবে।
নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও জানিয়েছেন, আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। দুই দেশের একাধিক প্রতিনিধিদল সফর বিনিময় করেছে। বর্তমানে ভারতের একটি দল যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে এই আলোচনার ধারাবাহিকতায়।
ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়, বেশ কিছু খাতে দুই দেশ একমত হলেও কৃষিজ পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ইস্যুতে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে। তবে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আশাবাদী এবং আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে।”