মস্কোকে নিশানা বানানো ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উচিত হবে না মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও উচিত তার বেঁধে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমার মধ্যেই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া, নাহলে নিষেধাজ্ঞা চালু হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার তার এ মন্তব্যের আগে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে আলোচনা সম্বন্ধে অবগত লোকজনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প গোপনে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা জোরদারে ইউক্রেইনকে উৎসাহিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূর-পাল্লার অস্ত্র দিলে ইউক্রেইন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কিনা, ট্রাম্প তা জেলেনস্কির কাছে জানতেও চেয়েছেন বলে পত্রিকাটি দাবি করে।
কিন্তু মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের সাউথ লনে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি রাশিয়ার রাজধানীতে হামলার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“না, তার মস্কোকে নিশানা বানানো উচিত হবে না,” বলেছেন তিনি।
আগের দিন সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেইনে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চালানোর রাশিয়ার ওপর তুলনামূলক শক্ত অবস্থান নিয়ে কিইভকে ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানান অস্ত্রশস্ত্রের নতুন চালান পাঠানোর অঙ্গীকার করেন এবং যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে মস্কোকে ৫০ দিনের সময় বেঁধে দেন।
তার এ ঘোষণার পর ইউরোপের নেতারা কীভাবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা কার্যকর করে ইউক্রেইনের হাতে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্রুত পৌঁছানো যায় তা নিয়ে তড়িঘড়ি কাজ শুরু করেন।
পরে মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এরই মধ্যে ইউক্রেইনের পথে রয়েছে।
“সেগুলো জার্মানি থেকে আসছে,” বলেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত পুতিনের কথা হয়নি তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ৫০ দিন লাগার কথা না।
এর আগে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি এখন ইউক্রেইনের পক্ষে কিনা? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি কারও পক্ষে না। আমি মানবতার পক্ষে, কারণ আমি হত্যা থামাতে চাই।”
তিনি রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি করাতে তার দেওয়া আল্টিমেটামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, চুক্তি না করলে যেসব দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে তাদের ওপর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে।
রাশিয়াকে চুক্তিতে রাজি করাতে কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা আছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
কেবল বলেছেন, “৫০ দিন শেষে যদি আমরা কোনো চুক্তি না পাই, তাহলে সেটা খুব খারাপ হবে।”