যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শুরু হওয়া অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভ দেশজুড়ে অন্তত দশটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে টেক্সাসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর।
গত মঙ্গলবার (১০ জুন) টেক্সাসের অস্টিন শহরে শতাধিক বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ভবনের সামনে মিছিল করে ‘আইস নিপাত যাক’ স্লোগান দেন। একই সময়ে নিউইয়র্কসহ আটলান্টা, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, ডালাস, অস্টিন, সান ফ্রান্সিসকোসহ অন্যান্য বড় শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
জানা গেছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে পাঁচ দিনের বিক্ষোভ ও অস্থিরতার কারণে স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করে। মেয়র ক্যারেন ব্যাস জানান, শহরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও ব্যাপক ভাঙচুর ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন। কারফিউর পর এলএপিডি অন্তত ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মেরিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিলেও এখনও সেনারা শহরে নামেনি। তবে সিল বিচ এলাকায় শত শত মেরিন সেনা অবস্থান করছে। যেকোনো সময় তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসে আনা হতে পারে।
টানা পঞ্চম দিনে বিক্ষোভের সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা ও চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, ন্যাশনাল গার্ড নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন রাজ্যের কর্তৃত্বকে অগ্রাহ্য করেছে।
বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বিষয়ক এই পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হচ্ছে।