লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পিকআপভ্যান থামিয়ে ৫৩ বস্তা সার লুট করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় এ লুটের ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও রমনীগঞ্জ এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও একই এলাকার পশ্চিম সারডুবী গ্রামের আলিবর আলীর ছেলে এবং ছাত্রদল কর্মী শরিফুল ইসলাম সবুজ।
জানা গেছে, পাশের পাটগ্রাম উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার শাহজাহান নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধভাবে ৮০ বস্তা বিভিন্ন সার বিক্রি করেন। সে সারগুলো নিয়ে একটি পিকআপ পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকায় রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজসহ আরও কয়েকজন গাড়ি থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। সে অভিযানে রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা ও তার দেওয়া তথ্যমতে আরও ৩৬ বস্তাসহ মোট ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলব।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন নবী বলেন, লুট হওয়া ৫৩ বস্তা সারের মধ্যে ৪৭ বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। শরিফুল ইসলাম সবুজ ও রাশেদুল ইসলাম সবুজ নামে ওই ব্যক্তি এ লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশকে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।