গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিজয় র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সমাবেশ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এক বিশাল বিজয় র্যালী বের হয়ে নগরীর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, কাজির দেউড়ি মোড় হয়ে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় মঞ্চে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ অংশ নেন।
সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, রাজনীতিকরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তারা আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিজ্ঞা করেছি বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐকমত্যে আমরা আমাদের ৩১ দফার সংস্কার পরিপূর্ণভাবে পালন করব।
তিনি আরও বলেন, এখন কি সংস্কার হবে, না হবে, আমরা সেটার সহযোগিতা করতে রাজি আছি। এটা যাদের কাজ সেটা হচ্ছে আগামী সংসদের কাজ। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে যেভাবে বিগত দিনে নিয়েছে। বিগত দিনের রাজনীতিকরা যেহেতু সফল হয়নি, তার জন্য রাজনীতিকরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এবং তারা তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মহান বিজয়ের জন্য চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিপ্লব উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। প্রধান এবং প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। এই চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে এবং এ অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।
স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয় এই বাকশালের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে মুখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের লক্ষ মানুষের ওপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে আবারও মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিমুদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং, শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।