করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর সিলেটে জমেনি ঈদের বাজার। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোজার আগে থেকেই ক্রেতা আকর্ষণে নানা সাজসজ্জা আর প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আগেভাগেই নতুন জামা-কাপড় কিনছেন ক্রেতারাও।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট শহরের শপিংমলগুলোর ভেতরে পোশাকের সমাহার আর বাইরে রঙিন বাতি। যা নজর কাড়ছে ক্রেতা সাধারণের। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা নিত্য নতুন কালেকশন নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউজ ও মেগামলগুলো। ফুটপাতেও চলছে বেচাকেনা। দিনের বেলা থেকে রাতেই ভিড় বেশি ক্রেতাদের। বিশেষ করে রাত ৮টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। শিশু থেকে শুরু করে এ ভিড়ে আছেন বয়স্করাও।
সিলেটের অভিজাত শপিংমল আল হামরা শপিং সিটিতে ঈদের নতুন পোশাক কিনতে আসা শিশু ওয়াজিহা মাহমুদ আফরিন জাগো নিউজকে জানায়, গত বছর করোনা থাকায় বাবা আমাদের মার্কেটে নিয়ে আসেনি। এবার ঈদের জামা কিনতে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছি। আমি ও আমার বোন দুটি লেহেঙ্গা কিনেছি। আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। ছোটবোনও খুশিতে ঘুরছে। তবে ক্রেতারা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম সামান্য বেশি। এছাড়া ব্যবসায়ীরাও তাদের সুবিধামতো দাম হাঁকাচ্ছেন।
জিন্দাবাজারের ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটির জারা ফ্যাশন হাউসের মালিক জুনাইদ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, বিগত দুই বছর রমজানেও অতিমারি করোনার কারণে সিলেটসহ সারাদেশে লকডাউন ছিল। শেষ মুহূর্তে ঈদের কয়েকদিন আগে লকডাউন শিথিল করে দোকান খুলে দেওয়া হলেও ক্রেতাদের তেমন একটা সাড়া মেলেনি। এবার করোনা না থাকায় আগেভাগেই ক্রেতারা আসছেন। নিজেদের পছন্দের জামা কিনছেন। আশা করছি, ব্যবসা ভালোই হবে।
হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী রইছ আলী জাগো নিউজকে বলেন, এবার লকডাউন আর বিধিনিষেধ না থাকায় ঈদবাজার জমতে শুরু করেছে। আশা করি এবার বিগত বছরগুলোর লোকসান কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
নয়া সড়ক ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ফ্যাশন হাউস মাহার স্বত্বাধিকারী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকদিন হলো ব্যবসা জমতে শুরু করেছে। নয়া সড়ক এলাকায় ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে এবার একটু ব্যতিক্রমী সাজসজ্জা করা হয়েছে। এবার বেচাবিক্রি ভালো হবে বলে আশা করছি।