গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের অনেকের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি

চিফ প্রসিকিউটর
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৯

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের মরদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি। কাউকে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন, তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেওয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে- এ ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।
রোববার (২৩ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে দুইটি মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদের জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে।, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি। আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে, সেই মুহূর্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাই এ কারণে তাদের কোনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি শক্ত প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে কী ধরনের নিষ্ঠুরতার সঙ্গে জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।