টেনেসিতে যৌথ অভিযানে শতাধিক গ্রেপ্তার, উদ্বিগ্ন অভিবাসীরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১১ মে ২০২৫, ১৩:৫২

টেনেসি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রেফিউজি রাইটস কোয়ালিশনের নির্বাহী পরিচালক লিসা শেরম্যান লুনা শুক্রবার বলেন, ‘আমাদের কেউই এমন কিছু এর আগে দেখিনি।’ টেনেসির ন্যাশভিলে ফেডারেল অভিবাসন কর্মকর্তা ও টেনেসি হাইওয়ে পেট্রলের যৌথ অভিযানে ১০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ নিয়ে ন্যাশভিলের অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে টেনেসি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রেফিউজি রাইটস কোয়ালিশনের নির্বাহী পরিচালক লিসা শেরম্যান লুনা শুক্রবার বলেন, ‘আমাদের কেউই এমন কিছু এর আগে দেখিনি।’
সিএনএন জানায়, অবৈধ অভিবাসীদের গণবিতাড়নে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় ও স্টেইট পর্যায়ের এখতিয়ার কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটিই স্মরণ করিয়ে দিল ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) সঙ্গে এ অভিযান।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার কর্মকর্তারা আইসের সঙ্গে যৌথ অভিবাসন অভিযানে গিয়ে এক হাজার ১২০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
টেনেসি হাইওয়ে পেট্রল শুক্রবার জানায়, আইসের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ৫৮৮টি অবস্থান থেকে ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পেট্রল আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত কারও কারও কাছ থেকে অবৈধ মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের একজন এল স্যালভাদরে হত্যার ঘটনায় ওয়ান্টেড আসামি।
টেনেসির রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি সম্প্রতি আইনে সই করে অভিবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি বিভাগ সৃষ্টি করেন। এ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হাইওয়ে পেট্রলকে।
স্টেইটের সম্পদ ব্যবহার করে ট্রাম্পের গণবিতাড়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেশ কিছু রিপাবলিকানের একজন বিল লি।
ন্যাশভিল সিটিতে শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। সেখানকার সিটি কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হতে অস্বীকৃতির পাশাপাশি গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন।
ন্যাশভিলের ল ডিরেক্টর ওয়ালি ডিয়েৎজ জানান, গত ৩ মে স্টেইট ও ফেডারেল কর্মকর্তাদের অভিযানে সিটি সরকারের সবাই বিস্মিত হন।
এদিকে অভিবাসী অধিকার সমর্থকদের ভাষ্য, হাইওয়ে পেট্রল ন্যাশভিলের যেসব অংশের দিকে মূল নজর দিয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ বাসিন্দা অশ্বেতাঙ্গ।
এ বিষয়ে শেরম্যান লুনা বলেন, ‘সব লক্ষণ বর্ণবাদী প্রোফাইলিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করছে, যার লক্ষ্য অভিবাসী ও রেফিউজি কমিউনিটির প্রাণকেন্দ্রকে ভীতসন্ত্রস্ত করা।’
তিনি বলেন, অভিবাসনবিষয়ক শুনানিতে যথাযথ আইনি প্রতিনিধিত্ব পেলে গ্রেপ্তার কয়েকজন অ্যামেরিকায় থাকতে পারবেন। যদিও অবৈধ অভিবাসীদের জন্য নির্মিত আটক কেন্দ্রে অনেক মাস বা বছর থাকার ভয়ে অনেকে নিজে থেকে অ্যামেরিকা ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন।
প্রায় ২ মিলিয়ন জনসংখ্যার ন্যাশভিল মেট্রোপলিটন এলাকার প্রায় ৯ শতাংশ বাসিন্দা অভিবাসী।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউট জানায়, অভিবাসীদের অনেকেই মেক্সিকো ও হন্ডুরাস থেকে আগত। এ ছাড়া বড় আকারের কুর্দি জনগোষ্ঠীও রয়েছে মেট্রোপলিটন এলাকায়, যারা সুদান, মিয়ানমার ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা রেফিউজিদের পাশাপাশি থাকেন।