জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় তাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব আসামিকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
এর আগে সকালে নারী ও পুরুষ আসামিদের পৃথক প্রিজনভ্যানে করে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পরে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় ২০২০ সালের ১২ জুলাই দুজনকেই গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
একই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি আসামিদের প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।