ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাত বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তবে বিষয়টি এখনো বাংলাদেশি প্রশাসনকে দাপ্তরিকভাবে অবগত করা হয়নি।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের কালিমাতা মন্দির সংলগ্ন পীরাগড়ি ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন– গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সুনাম উদ্দিনের ছেলে রবিন হোসাইন (২৮), নওগাঁ জেলার পত্নীতলার রঘুনাথ গ্রামের আবু জাফরের ছেলে মো. রাফি (২৫), ফেনীর পরশুরাম উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসাইন (২৭), একই উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের আহমদের ছেলে সাইদুর জামান (২৮), নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২৪), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গাজরা গ্রামের ফারুক মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা (২১) ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ফয়েজ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫)।
জানা গেছে, ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ার ভিসা পেতে পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের আমজাদনগরে যান সাত বাংলাদেশি। সেখানে তারা ভিসা ছাড়াই অবস্থান করছিলেন। পরে দিল্লি যাওয়ার সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ভারতের বিলোনিয়া থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রেপ্তার এক যুবকের স্বজন বলেন, পরশুরামের একটি দালাল চক্র ভারতের দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। কিন্তু পথে পুলিশকে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আটক করা হয়। তারা ইউরোপে যাওয়ার আশায় ভিসা সংক্রান্ত কাজে সেখানে গেছে। ভারতে অবস্থান করা আত্মীয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রেপ্তারের খবরটি আমাদের নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাপ্তরিকভাবে অবগত করেনি। দাপ্তরিকভাবে জানালে আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।