ইইউর ওয়াটার কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত সরকারের

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৪১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ‘কনভেনশন অন দ্য প্রোটেকশন অ্যান্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটার কোর্সেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিগ-১৯৯২ কনভেনশন’ এ অনুস্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া (সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, আন্তঃমন্ত্রণালয়, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা) এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগি ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সব সময় বলি কেন আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে সই করছি না, এ অভিন্ন জলরাশির পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতিসংঘের দুটো (১৯৯৭ কনভেনশন ও ১৯৯২ কনভেনশন) আইন রয়েছে।১৯৯৭ কনভেনশনটি ১৯১৪ সালে কার্যকর হয়। উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬ টি দেশের সই লাগতো। সেই সই পেতেই লেগে যায় ১৭ বছরেরও বেশি সময়।
আরেকটি আইন রয়েছে যেটি খুবই কার্যকর। যদিও ১৯৯২ সালের এ আইনটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে টার্গেট করে, এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এতে সই করেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ দেশি হচ্ছে আফ্রিকান।