ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের ছয় থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া, চুরি ও ছিনতাই হওয়া ২৫১ মোবাইলফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান এসব মোবাইলফোন তুলে দেন ভুক্তভোগীদের হাতে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে মোবাইলফোন হারিয়ে যাওয়া এবং চুরি ও ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মোবাইলফোন মালিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত এক মাসে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ৬৩টি, হাতিরঝিল থানা পুলিশ ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ ৩২টি, আদাবর থানা পুলিশ ৩২টি এবং তেজগাঁও থানা পুলিশ ৩০টি মোবাইলফোন উদ্ধার করে।
সাংবাদিকদের ডিসি ইবনে মিজান বলেন, মোবাইলফোনে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। ছবি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য মোবাইলে থাকে। মোবাইল হারিয়ে গেলে আমরা বড় একটা সমস্যায় পড়ি। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগে বিশেষ একটি টিম গঠন করা হয়। তেজগাঁও বিভাগের ছয় থানার দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে হারানো মোবাইল উদ্ধারে কাজ শুরু করি। বিভিন্ন ধরনের টেকনিক ব্যবহার করে এসব মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আমরা কয়েক মাসে হারানো মোবাইলগুলোর মধ্যে আড়াই শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করেছি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ তেজগাঁওয়ের ছয় থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ২৫১ মোবাইলফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে
তিনি আরও বলেন, এই কাজে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রব্বানী হোসেন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই বিপুলসংখ্যক মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এর আগেও আমরা শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করেছিলাম। আজও আমরা উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলো সঠিক মালিকদের কাছে তুলে দেবো। তবে মোবাইলগুলো জিডির কারণে উদ্ধার করা হয়েছে, তাই কেউ গ্রেফতার নেই।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ তেজগাঁওয়ের ছয় থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ২৫১ মোবাইলফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আজ উদ্ধার হওয়া মোবাইলের দাম যদি ২০ হাজার করে ধরা হয় তাহলে অন্তত ৫০ লাখ টাকার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এই কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হবে। মোবাইল হারিয়ে গেলে হতাশ না হয়ে থানায় জিডি করতে হবে। মোবাইল উদ্ধারে আমাদের টিম রয়েছে, তারা নিরলসভাবে কাজ করছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ তেজগাঁওয়ের ছয় থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ২৫১ মোবাইলফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে
হারানোর চেয়ে ছিনতাইয়ের সংখ্যা বেশি, তাই মোবাইল ছিনতাই হওয়ার পর উদ্ধার করছেন। ছিনতাই প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? জানতে চাইলে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, গত তিন মাসে আমরা আট শতাধিক ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে বিভিন্ন থানায় টিম গঠন করা হয়েছে। যেসব এলাকায় ছিনতাইকারী বেশি সেসব এলাকায় ব্লক রেইড করে গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ছিনতাই প্রতিরোধে মাঠে কাজ করছে। আর ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলো অপরাধীরা তাদের হাতে রাখে না। দ্বিতীয়, তৃতীয় হাতে চলে যায়।