‘বেশকিছু বিষয়ে কাছাকাছি এসেছি, কিছু বিষয়ে দ্বিমত রয়েই গেছে’

ঐকমত্য কমিশন-বিএনপি
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:২৭
আপডেট  : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৩১

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনেক বিষয়ে তারা একমত, তবে এখনো কিছু বিষয়ে তাদের দ্বিমত রয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও অনেক বিষয়ে আমরা কাছাকাছি চলে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বাকশালে বিশ্বাস করে না। একদল যা বলবে তাই মানতে হবে—এমনটা নয়। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সর্বোত্তম কিছু হবে বলে আমরা আশা করি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংবিধানের প্রিয়ম্বলে ৫ম সংশোধনী চায় বিএনপি। মূলনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিয়ে আমরা একমত। সংবিধানে বহুত্ববাদ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আমরা একমত।’
তবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনে বিএনপির দ্বিমত রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। নারীর আসন ১০০টি করার বিষয়েও দল একমত, তবে এটি ত্রয়োদশ সংসদ থেকে কার্যকর হোক—এই মত বিএনপির। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে তারা।’
প্রার্থীর বয়স ২১ বছরে নির্ধারণে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলেও জানান সালাহউদ্দিন।
তিনি জানান, সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান একই ব্যক্তি হবেন কি না—এ বিষয়ে বিএনপির দ্বিমত রয়েছে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই থাকা উচিত। এটি গণতন্ত্র চর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
লিডার অব দ্য হাউজ কে হবেন—সেটিও রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত বলে জানান বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা। এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে দলটির মতপার্থক্য রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ ও নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা নিয়ে বিএনপি একমত হলেও তারা কীভাবে নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নতুন আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা চেক অ্যান্ড ব্যালান্সে আনতে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, এনসিসি নিয়ে আমরা একমত নই। এতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে। কেয়ারটেকার ছাড়া নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার হয় না। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কেয়ারটেকার রাখা প্রয়োজন, এটি ডকট্রিন অব নেসেসিটির অংশ।