বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজার মণ ধান লুটের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২৬

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কৃষকের জমির সাড়ে ৬ হাজার মণ বোরো ধান লুট ও কৃষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের রথখলা এলাকার একটি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা। কৃষক মাসুদ মিয়া (৪০), জমির হোসেন (৪৩), কাসুম আলী (৫৫) ও নায়েব আলী (৫০) সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে কৃষকরা বলেন, জেলার মিঠামইন উপজেলার হাওরে জমির মালিক আব্দুল হক নুরুর কাছ থেকে ৬৬ একর জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেন ১৩ জন কৃষক। জমির ধান পেকে ওঠায় কৃষকরা ধান কাটতে গেলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর বাধা দেন। পরে তার নেতৃত্বে জমির সাড়ে ৬ হাজার মণ ধান কেটে নিয়ে যান ও কৃষকদের মারধর করেন। মারধরে পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ৩ জন শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিএনপির সভাপতি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা জানান।
তবে মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। যেহেতু আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, তাই জমির মালিক পক্ষ আমার কাছে কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা কৃষকও না, জমির পত্তনও (বর্গা) নেয়নি। জমির মালিক হলো উজানের জিরাতিগণ। পত্তন নিয়েছে মিঠামইনের কৃষকরা। তারা তাদের ধান কেটে নিয়েছে।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম জানান, ভুক্তভোগী কৃষকরা মৌখিকভাবে আমাকে জানালে আমি তাদেরকে বলেছিলাম পত্তনের কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু পরে তারা কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করেনি। মারধরের বিষয়টিও আমার জানা নেই।