মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত তুলা দিয়ে তৈরি পোশাকপণ্য (আরএমজি) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে শূন্য শুল্ক (শুল্কমুক্ত) সুবিধা চেয়ে ন্যাশনাল কটন কাউন্সিল অব আমেরিকার (এনসিসিএ) সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। এনসিসিএ সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি অ্যাডামসকে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানান বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। চিঠির অনুলিপি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাউন্সেলর এরিক গিলানকেও পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি এই চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠির অনুলিপি জাগো নিউজের হাতে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানি আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের দেশের উৎপাদিত তুলা দিয়ে পোশাক রপ্তানিতে এ সুবিধা চেয়েছে বিটিএমএ।
চিঠিটি এমন সময়ে পাঠানো হয়, যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন চলতি বছরের ৯ এপ্রিল এক ঘোষণায় বাংলাদেশসহ ৭৫ দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
চিঠিতে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘এই ৯০ দিনের সময়কাল কৌশলগত কূটনীতি ও আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।’ এতে তিনি বাংলাদেশের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন তুলা আমদানি করেছে, যা দেশের মোট তুলা আমদানির প্রায় ১২ শতাংশ। এর পরিমাণ আগামীতে চার থেকে পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মার্কিন তুলার ব্যবহার আরও বাড়াতে বিটিএমএ বাংলাদেশে শুধুমাত্র মার্কিন তুলার জন্য একটি কেন্দ্রীয় গুদাম স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা তাদের প্রতিশ্রুতিরই বহিঃপ্রকাশ। এই তুলা দিয়ে তৈরি পণ্যের উল্লেখযোগ্য অংশই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি হয়।
বিটিএমএ সভাপতি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে লক্ষ্যেই বিটিএমএর ১২-১৩ সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল শিগগির যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে। এই সফরে মার্কিন সরকার ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে অগ্রগতি সাধনের চেষ্টা করা হবে।