শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০১ জুন ২০২৫, ২৩:৪৭

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (১ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলায় পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক বলে জানানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুন তাঁদের তিনজনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়, এবং এই ঘটনা ঘিরে প্রথম একটি বিবিধ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই আজ আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়, যা এখন পূর্ণাঙ্গ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হলো গণহত্যা, গুম এবং নির্যাতনের নির্দেশ প্রদান ও তা কার্যকর করার ভূমিকা।
গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে দাখিল করে। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সেটিকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রূপ দিয়ে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে গৃহীত হলো। বাকি দুটি মামলার একটিতে তাকে গুম ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অপর মামলাটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।