শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষায় ১০৬টি দেশের মধ্যে ৭৫ দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম। শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন। দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প। ভবিষ্যতের পড়ালেখা হবে আনন্দময়। শিক্ষার যাঁতাকলে যেন শিক্ষার্থীরা জর্জরিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
রবিবার (৩১ জুলাই) বিকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদরের চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কলেজ শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘একটি মহল বলে- গেলো, গেলো। তাদেরকে বলি, পদ্মা সেতু হলো, নিজস্ব অর্থায়নে। লাখ লাখ গাড়ি চলছে, পদ্মা সেতু কি আছে না গেলো?’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না। আজকে বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়েছে। সারাবিশ্ব অস্থির অবস্থায় আছে। দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাশ্রয়ী হতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাতেই লুটের রাজনীতিতে বিশ্বাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপির সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন- কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বকসী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূঁইয়া, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে ডা. জাবিন জলিল, ভাগিনা অধ্যাপক ডা. মাসুম সিরাজ ও ডা. নওশীন সিরাজ।
উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশের প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দা ফিরোজা বেগম নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে চান্দিনা উপজেলা সদরে ‘চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন।