সিলেটর সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধি

বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম
ডেস্ক রিপোর্ট
  ০২ জুন ২০২৫, ০০:১৪

সিলেটে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণের ফলে সুরামা কুশিয়ারা সহ বিভিন্ন নদীর পানি আরও বেড়েছে। অনেক স্থানে রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।  সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি  এ মৌসুমে সিলেটে  রেকর্ড- বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন।
এদিকে ভারতের বরাক নদী দিয়ে ঢল নেমে সুরমা-কুশিয়ারা নদী ফুলে উঠছে।  নদী দুটির তীরবর্তী বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে  ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ইত্তেফাককে বলেন,  পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রয়েছে। ৫৮২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখনো কেউ আশ্রয় শিবিরে আসেনি। অন্যদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।  সিলেট শহরের নিকট সুরমা বিপদসীমা অতিক্রম করে পানি দ্রুত বাড়ছে। কুশিয়ারা শেওলা পয়েন্টেও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা বিপদ সীমার ৫ সে.মিটার উপরে। মোট ৪টি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা, সেগুলো হচ্ছে:  কানাইঘাট, আমলসীদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ।  এছাড়াও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে।
২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, সিলেটে  রেকর্ড
এদিকে এবার সিলেটে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও প্রায় ১৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি ঝরেছে। বিশেষ করে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিসহ বরাক মোহনার অন্যান্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর প্রভাবে নদ-নদীর পানি বাড়ছে, বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে শনিবার থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মেজরটিলা, শাহপরান, রিকাবিবাজার, বাগবাড়ী, কালিঘাট, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ভবনের নিচতলা পানিতে ডুবে জলমগ্ন রয়েছে। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কো¤পানীগঞ্জের নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক-মহাসড়কে পানি উঠায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।