মাদককাণ্ডে ধরা পড়ার পর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কূটনীতিক কাজী আনারকলিকে ফিরিয়ে এনেছে সরকার। তিনি সেখানে ডেপুটি চিফ অব মিশন পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৫ জুলাই আনারকলির বাসায় আকস্মিক অভিযান চালায় ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। আনারকলির বাসায় নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা পাওয়ার পর তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিক হিসেবে আনারকলি দায়মুক্তির আওতাধীন। যেকারণে আটকের পর দূতাবাসের জিম্মায় কাজী আনারকলি ছাড়া পান। তবে তাকে ফিরিয়ে নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায় ইন্দোনেশিয়া সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে কূটনীতিক আনারকলিকে জাকার্তার দূতাবাস থেকে প্রত্যাহার করে দেশে ফেরার নির্দেশ জারি করে।
কাজী আনারকলি পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। জাকার্তার দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কর্মরত ছিলেন।
২০১৭ সালে গৃহকর্মী নিখোঁজের দায়ে থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে কাজী আনারকলিকে ফিরিয়ে এনেছিল সরকার। পরে তাকে জাকার্তায় পাঠানো হয়।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, কাজী আনারকলি জাকার্তায় এক নাইজেরীয় নাগরিকের সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ার করে থাকতেন। বাসায় পাওয়া নিষিদ্ধ মাদক নাইজেরিয়ার সেই নাগরিক রেখেছিলেন কি না সে বিষয়ে জাকার্তা থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।