২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “৯শ’ টাকার পিলার ৪০ হাজারঃ জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পে হরিলুট” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবাদে বলা হয়, “জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য স্থায়ী আবাসন নিশ্চিতকরণে গৃহীত ‘৩৬ জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পের ডিপিপি'তে ‘৯শ’ টাকার পিলার ৪০ হাজার টাকা’ সংক্রান্ত কোনো ধরণের অঙ্গ উপাদানই নেই।” প্রকল্পে উল্লেখিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সর্বশেষ (২০২২ সালের সংশোধিত) দরতালিকার ভিত্তিতেই ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে এবং কোনোভাবেই অনুমোদিত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত অতিরিক্ত ব্যয় যেমন—২৫ লাখ টাকার লিফট ৯২ লাখ, ১২ লাখ টাকার সাবস্টেশন ৬৩ লাখ, ৯৫ হাজার টাকার পাম্প ৪.৫ লাখ, কিংবা সীমানা প্রাচীরের ৪৫ গুণ ব্যয়—এসব তথ্যকে “মনগড়া” বলে প্রত্যাখ্যান করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রকল্পের লিফটসমূহ ১০০০ কেজি এবং ৮০০ কেজি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন উন্নতমানের বেড ও প্যাসেঞ্জার লিফট, প্রতিটি ১০ থেকে ১৪ স্টপেজবিশিষ্ট। একইভাবে সাবস্টেশন, পাম্প এবং সীমানা প্রাচীরের মূল্য নির্ধারণও পণ্যের ধরন, গুণমান এবং পরিমাণ অনুযায়ী করা হয়েছে।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, লিফট, সাবস্টেশন ও অন্যান্য উপকরণের মূল্য সরকার অনুমোদিত দরতালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ই-জিপির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। অর্থাৎ ডিপিপিতে উল্লেখিত ব্যয় চূড়ান্ত নয়, বরং এটি একটি প্রাক্কলন মাত্র।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, প্রকল্পের প্রাথমিক নকশা স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে এবং প্রকৃত শহীদ পরিবারের মধ্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়টি ডিপিপিতে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবাদপত্রে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করে, “প্রকল্পের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত ও সরকারকে বিব্রত করতেই এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।” সংস্থাটি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের যৌথ পর্যবেক্ষণেও প্রকল্পের ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ব্যয়সমূহ সঠিক বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবাদপত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হারিজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল গোফফার, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিরাজ হোসেন, ডিজাইন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমদাদুল হকসহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।