ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট ২৮টি পদের ২৩টিতেই জিতেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। তাদের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে মূলত ছাত্রদলের। তবে ডাকসুর অন্য পদগুলোয় ছাত্রদলের প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি।
ডাকসুর এমন ফলাফলের পর বুধবার যুগান্তরকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি জানান, সামনের বাংলাদেশ কেমন হবে—এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসিনা যে ভাষায় মানুষকে গালি দিয়েছেন ও ছোট করেছেন, এখন আমরা যদি আমাদের প্রতিপক্ষকে সেই ভাষায় আক্রমণ করি- তাহলে আমাদের হাসিনার কাছাকাছি পরিণতিই ভোগ করতে হবে। মানুষ এগুলো আর পছন্দ করে না। আমাদের রাজনৈতিক বিভাজন থাকবেই কিন্তু সমালোচনার ভাষা হতে হবে নতুন বাংলাদেশের আলোকে। হাসিনার ট্যাগিং ভাষায় আক্রমণ করলে সেটাকে মানুষ গ্রহণ করবে না। ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলেও তার একটি প্রতিফলন ঘটল।’
হাদি মনে করেন, নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে কিছু প্রার্থী জয়ী হতে পারলে ভালো হতো। তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবির সমর্থিত যে জোট জিতল তাদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তাদের জন্য একটাই পরামর্শ থাকবে- এই ভূমিধস বিজয়কে যেন একক আধিপত্যে রূপ না দেয়। শিবির যদি ভুল রাজনীতি করে, একক আধিপত্য তৈরি করে, অন্যদের জায়গা না দেয়, তাহলে তাদেরও আজকের বিপরীত পরিণতি হতে একদমই সময় লাগবে না। সুতরাং, শিবিরকে আরও সহনশীল হতে হবে, নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।’