
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতীক তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে ‘শাপলা কলি’। এ প্রতীক তালিকার ১০২ নাম্বারে যুক্ত করেছে ইসি। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
নির্বাচন কমিশনের প্রতীক বরাদ্দ সিদ্ধান্তকে ‘প্রতারণামূলক’ আখ্যা দিয়েছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। এদিকে দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেছেন, রাজনৈতিক দলের জন্য ‘শাপলা কলি’সহ নতুন চারটি প্রতীক ইসি সংরক্ষণ করলেও এনসিপির শাপলাই চাই।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে সামান্তা শারমিন বলেন, নির্বাচন কমিশন ‘শাপলার কলি’ প্রতীক দিয়ে এনসিপির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ প্রতারণামূলক সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসতে হবে। এমন একটা পরিবেশ দাঁড় করানো হচ্ছে, যেখানে আমরা মানসিক চাপে পড়ছি। তোমরা এখনো বাচ্চা—এই মনস্তাত্ত্বিক চাপ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। কলি যেহেতু দিয়েছে, শাপলাও দেওয়া সম্ভব।
এদিকে গণমাধ্যমকে দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, এনসিপি শাপলাই চাই। আমরা যখন শাপলা চেয়েছি, তখন নির্বাচন কমিশন বলেছে— ‘তালিকায় নাই তাই, দেওয়া যাবে না’। এখন তারা ‘শাপলা কলি’ কীভাবে প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, তা স্পষ্ট করতে হবে।
এদিন চারটি নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের পরপর এনসিপি নেতা মুসা এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
প্রতীক হিসেবে এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’ বরাদ্দ দেওয়া হলে তা মেনে নেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, নির্বাচন কমিশন কোন ক্রাইটেরিয়ায় ‘শাপলা কলি’কে প্রতীক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা নতুন প্রতীকগুলো নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এ বিষয়ে এখনও আমরা আলোচনা করিনি।