পদ্মা সেতুতে ছেলেধরা গুজবের জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সাথে ড. হাছান মাহমুদ

৭ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট রাজনীতিতে গুরুত্বহীন ও জনবিচ্ছিন্ন : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা
  ১০ আগস্ট ২০২২, ১৪:০১
পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সাথে দেখা করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ


পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সাথে দেখা করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
জনগণের সাথে সম্পর্কহীন ও রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষরা নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে যে জোট গঠন করেছে রাজনীতি কিংবা ভোটের মাঠে তার কোনো গুরুত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় তথ্যমন্ত্রী তার মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। 
সোমবার জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-এই সাত দলের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ জোট গঠনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ৭ দলীয় একটি জোট গতকাল গঠিত হয়েছে দেখলাম। যারা এই জোট গঠন করেছে, তারা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এরা প্রত্যেকেই নানা দল করে, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো গুরুত্ব নেই উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তারা মিলে একটি জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মাত্র, অন্য কিছু না।' 
এর আগে সকালে মহাখালীতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জের ধরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সাথে দেখা করে তাদেরকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, '২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয়, তখন বিএনপি-জামাত সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে দেয় যে পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলি দিতে হবে। তাসলিমা বেগম রেনু সেসময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামাত সৃষ্ট গুজবের প্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শুধু তাসলিমা বেগমই নয়, বিএনপি-জামাতের গুজবের কারণে আরো অনেককে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী রেনু বেগম হত্যার বিচারের বিষয়েও দলীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। 
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।