মাদারীপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

মাদারীপুর সংবাদদাতা
  ১১ আগস্ট ২০২২, ১৪:১৫

মাদারীপুরের সদর উপজেলার শিরখারা ইউনিয়নের চরঘুনসী গ্রামে বিয়েতে দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন কলেজপড়ুয়া প্রেমিকা হ্যাপী আক্তার। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। এতে নিজের অবস্থান থেকে কিছুতেই সরে আসবে না বলে সাফ জানিয়েছেন ওই প্রেমিকা।
যদিও পুলিশ বলছে, এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের সদর উপজেলার শোলপুর গ্রামের মোবারক হাওলাদারের মেয়ে প্রেমিকা হ্যাপী আক্তার, বর্তমানে ডিগ্রি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করেন রা‌জৈর উপজেলার কবিরাজপুর ডিগ্রি কলেজে। বিয়ের দাবিতে গত তিন দিন ধরে অবস্থান করছেন প্রেমিকের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখারা ইউনিয়নের চরঘুনসী গ্রামের মৃত তারেক হাওলাদারের ছেলে আমিনুল হাওলাদারের বাড়িতে। ২০১৩ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় হ্যাপীর সাথে পরিচয় হয় কলেজপড়ুয়া আমিনুল হাওলাদারের। এরপর প্রেম। ২০১৬ সালে হ্যাপীর পরিবার অন্য জায়গায় জোড় করে বিয়ে দিলেও এক মাসের মাথায় প্রেমিক আমিনুলের জন্য ডিভোর্স হয়ে যায় হ্যাপীর। এরপর প্রেমের সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে। পরে আমিনুল ওই বছরই ইতালি চলে গেলে হ্যাপীর প্রয়োজনীয় খরচ বহনের দায়িত্ব নেয় আমিনুল। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাও পাঠান। এ সময় দুটি পরিবারের মাঝে গড়ে ওঠে সখ্য। কিন্তু চলতি মাসের ২ তারিখ দেশে এলে আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে পরিবার। এই খবরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে যান হ্যাপী আক্তার। এর সুষ্ঠু সমাধান চান এলাকাবাসী। এদিকে কোন অবস্থাতেই হ্যাপীকে মেনে নিতে নারাজ আমিনুলের পরিবার।
অভিযুক্ত আমিনুলের ভাবী লতা আক্তার বলেন, কারো সাথে প্রেম করলে তার অনেক প্রমাণ থাকে। কিন্তু হ্যাপী-আমিনুলের প্রেমের গল্পে কোন প্রমাণ নেই। আমরা হ্যাপীকে মেনে নিতে পারব না। আমিনুলের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে।
ভুক্তভোগী হ্যাপী আক্তার বলেন, আমি বাড়িতে অবস্থান করার পর গাঁ ঢাকা দিয়েছে আমিনুল। আগামী শুক্রবার আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে হবার কথা। আমার সাথে ১০ বছর প্রেম করেছে, আমি ওর সাথেই সংসার করতে চাই।
মাদারীপুরের পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, মেয়েটি টানা ১০ বছর প্রেম করলেও আমিনুলের পরিবার অস্বীকার করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর অভিযোগ পেলে দ্রুত সময়ে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।