সুনামগঞ্জে ইজিবাইকের ভাড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৪৫


সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ভাড়া নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার চিলাউড়া–হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনশ্রী ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১২ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ পশ্চিমবাজার এলাকায় রানীগঞ্জ থেকে বাউধরন সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই মতবিরোধ চলছিল। প্রায় ১৫ দিন আগে ইজিবাইক স্ট্যান্ডের পক্ষ থেকে ভাড়া ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলে বাউধরন ও স্বজনশ্রী গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে চিলাউড়া–হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দা সালেহ উদ্দিন আহমদ ইজিবাইকের ভাড়া পুনরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেন। তবে এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে উভয় গ্রামের ইজিবাইকচালকদের মধ্যে নতুন করে বিরোধ দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাউধরন গ্রামের মুজিব মার্কেট এলাকার গাড়ি স্ট্যান্ড থেকে স্বজনশ্রী গ্রামের ইজিবাইকগুলো বের করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক বদরুদ্দোজা বলেন, উভয় পক্ষের ৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। থানায় কোনো পক্ষ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।