রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারে গার্ডারচাপায় নিহত আইয়ুব আলী ওরফে রুবেল হোসেনের বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত তারা চাঁদ আলীর ছেলে।
ছেলে হৃদয় আলীর বৌভাত শেষে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরায় গার্ডারচাপায় রুবেলসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তার ছেলে হৃদয়। ঘটনাটি শোনার পর থেকেই রাজনগর গ্রামে তাদের স্বজনদের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সবাই রুবেলের মরদেহের অপেক্ষায় আছেন।
নিহতের মেজোভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল মালেক জানান, ২২ বছর আগে গার্মেন্টেসে চাকরির জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে যান রুবেল। সেখানে দীর্ঘদিন চাকরির পর ব্যবসা শুরু করেন। ১০/১২ দিন আগেও তিনি রাজনগর গ্রামে এসেছিলেন। নয় ভাইবোনের মধ্যে রুবেল ছিলেন অষ্টম সন্তান।
রুবেল হোসেনের বোন আদুরি খাতুন বলেন, ছেলের বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে তার শ্বশুরের পরিবারের লোকজনকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন রুবেল। সেখানে গার্ডারচাপায় শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়। বিভিন্ন টেলিভিশনে এমন খবর দেখে ঢাকায় যোগাযোগ করি। ঢাকা থেকে আমাদের আদরের ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছি। এরই মধ্যে আমার আরেক ছোট ভাই ইয়াহিয়া মরদেহ আনতে ঢাকায় পৌঁছেছে। সে বাড়িতে মোবাইল করে বলেছে, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে গ্রামের বাড়িতে রওয়ানা হবে।
এই দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহতের বড়ভাই মহশিন আলী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শ্রমিকদের অবহেলার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের ভুলের কারণে ঝরে গেলো বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তর দাবি জানাচ্ছি।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। যেখানে ঘটনা সেই থানা থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো বার্তা পাঠায়নি। বার্তা পেলে নিশ্চিত হতে পারবো।