বিএনপির লাগাতার আন্দোলন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২২ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩৯

আজ সোমবার থেকে প্রতিটি উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লাগাতার আন্দোলনে নামছে বিএনপি। জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটির তৃণমূল।
গত মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে ৮১টি সাংগঠনিক জেলায় এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের সময় সংশ্লিষ্ট আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয় এবং কর্মসূচি কতটা সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণে সব বিভাগে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে টিম করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, কর্মসূচিগুলো যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, এজন্য বিভাগীয় টিম কাজ করছে। মূলত এই কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের অবস্থা সরেজমিনে দেখা, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি থাকলে তা চিহ্নিত করা এবং বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করাই আমাদের লক্ষ্য।
কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে ঢাকা বিভাগে, কুমিল্লায় বরকতউল্লাহ, চট্টগ্রামে মো. শাহজাহান, খুলনায় শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে রাজশাহীতে, ফরিদপুরে মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন সিলেটে, বরিশালে হাবিব-উন নবী খান, রংপুরে হারুন অর রশীদ, ময়মনসিংহে মজিবুর রহমান সরোয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কর্মসূচি সফল করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের এমপিদের যারা এখন দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের যারা এলাকায় যান না, তাদের বিষয়ে বিভাগীয় বৈঠকে আপত্তি তোলেন তৃণমূলের নেতারা। কর্মসূচিতে এলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলেও জানান কোনো কোনো নেতা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে কর্মসূচিতে স্ব স্ব জেলার কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক এমপিদের উপস্থিত থাকাসহ ৬টি নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়াও মৌখিকভাবে জেলা শাখার নেতাদের জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।