পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনিব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন গত ৩১ মার্চ একটি দৈনিকে প্রকাশিত বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই প্রতিবেদনে সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী, দুই মেয়ের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-এর শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানের আবেদন জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
পরে সাংবাদিকদের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদের
বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি। দুদক ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরনো গাড়ি আছে, যা সেলফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটি করলে তখন চলতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। কমিশনের অনুমতি পেলে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।