বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ছত্রছায়ায় খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আজও চলমান ।সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে থাকলেও কথা বলার মত সুযোগ ছিলো না।বর্তমান পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মানুষ এখন প্রতিবাদ মুখর।অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং পূর্বাঞ্চলের গ্রামীন রাস্তাঘাট ও খোয়াই নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রক্ষার্থে চুনারুঘাট বাজারে মানববন্ধন চলাকালে বিএনপি নেত্রী শাম্মী আক্তার পরিবেশ উপদেষ্টার সমালোচনা করায় ডিসির হুমকি ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করায় জেলা প্রশাসক শাম্মী আক্তারকে হুমকি দেন।জেলা প্রশাসক শাম্মী আক্তারকে প্রশ্ন করেন রাস্তা-ঘাট,ব্রিজ রক্ষার কথা বলার আপনি কে?
উল্লেখ্য ব্রিজটি নদীর পূর্বঅঞ্চলের উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এলজিইডির মাধ্যমে নির্মিত হয়। অবৈধ বালু ও গাছ ব্যবসায়ীদের কারণে সংশ্লিষ্ট রাস্তা ও ব্রিজটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যা সাধারণ মানুষ মানতে পারছে না।রাজার বাজার হতে বাসুল্যা বাজার সংযোগ রাস্তাটি দুই পাড়ের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ।স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতারের অভিযোগ -ব্রিজ নিয়ে কথা বলায় হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক তাকে ফোনে মামলা ও চুনারুঘাটে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ।জেলা প্রশাসক শাম্মী আখতারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন- ব্রিজকথা বলার তিনি কে? মামলার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক ডঃ ফরিদুর রহমান। শনিবার এ নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন তিনি (শাম্মী আক্তার) আমাদের উপদেষ্টা (সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান) ও প্রশাসন সম্পর্কে প্রকাশ্যে কয়েকটি নেগেটিভ কথা বলেছেন ,তথ্য ছাড়া এমন কেন বলেছেন সেটা জানতে চেয়েছি।এ ব্যপারে বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ও শাম্মী আক্তারের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলেন এরপর শাম্মী আক্তারের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় পরে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলেন এরপর মেসেঞ্জার অ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল ) চুনারুঘাট শহরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএনপি নেত্রী শাম্মী আক্তার অভিযোগ করেন অবৈধভাবে উত্তোলন এবং খোয়াই নদীর উপর অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রক্ষার জন্য ডিসি অফিস ঘেরাওয়ের কথা বলেন একই সাথে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আমাদের যে ব্রিজটি ধ্বংসের দান প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের ।
এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন: রাজার বাজার খোয়াই ব্রীজ রক্ষার স্বার্থে যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দিবো। যদি জীবন দিতে হয় জীবন দিবো।তারপরেও রাজার বাজার খোয়াই ব্রীজ রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ। আমরা পূর্ব পাড়ার মানুষ পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক আপনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। লাখাই ও বানিয়াচং এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এরকম অবস্থা চুনারুঘাটে আনবেন না। তাই ৮ দফা দাবি মেনে নিন। আমরা শুধু আমাদের খোয়াই ব্রীজ রক্ষা চাই।ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষরদের বালু উত্তোলন বন্ধ চাই।স্থানীয় জনগণ আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এর আগে চুনারুঘাটের খোয়াই নদীর উপর রাজার বাজার ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ভারীযান চলাচল ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুশিয়ার দিয়েছিলেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার। এর জবাবে জেলা প্রশাসক ফোনে তার বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নেত্রী ।এর আগে মঙ্গলবার তিনি পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানকে প্রয়োজনে চুনারুঘাটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দেন ।
আগামী দিনে চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন দূর্নীতি অনিয়ম ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।