সর্বশান্ত হচ্ছে তরুণ-তরুণীরা, তবু চলছে অনলাইন জুয়া

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যাবে দেশের কোনো তারকা বলছেন, ‘ঘরে বসে পুঁজি ছাড়াই আয় করতে চান? তাহলে এই অ্যাপে গেম খেলুন আর জিতে নেন লাখ লাখ টাকা।’ এমনই একটি অ্যাপ সিকে৪৪৪।
এই অ্যাপের ব্যাপকভাবে প্রচারণা করছেন তরুণেরা। যেখানে লোভনীয় অফার ও অ্যাপে খেলার নিয়ম প্রচার করছে। আদতে এটি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এর প্রচারণা চলছে এবং অনলাইনে জুয়া খেলতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই অ্যাপে এন্ট্রি নেওয়া এক জন জানালেন, অনলাইন জুয়া খেলে তিন দিনে আয় করেছেন ২৯ হাজার টাকা। তবে ছয় মাসে হারিয়েছেন ২ লাখ টাকা। এরকমভাবে অর্থ হারানোর প্রবণতাই বেশি। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনলাইন জুয়ার আসরে।
বিজ্ঞাপন প্রচারসহ অনলাইনে জুয়া/বেটিংয়ের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন চিহ্নিত করা, এগুলোর কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়, তা নির্ণয় এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়। তানজিম রাফিদ নামে রাজধানীর এক বাসিন্দা ১৬ এপ্রিল রিটটি করেন।
আদালতের এই নির্দেশের পর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন সাইবার সুরক্ষা আইনটি পাশ হবে বলে আশা করি। এই আইনে সাইবার স্পেসে জুয়া কিংবা অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন পাশ হওয়ার পর আমরা জুয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কোম্পানিকে শাস্তি দেওয়া এবং বেটিং সাইটগুলো নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেব ইনশা আল্লাহ।’