আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত সিলেটের গোয়াইনঘাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র উদ্বোধনের আগেই নজর কাড়ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি খুব শিগগির উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানাগেছে, উপজেলা সদরের প্রশাসনিক গন্ডির ভেতরে ৪৩ শতক ভূমিতে (১৮ হাজার ৮০০ বর্গফুট) জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি। সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের প্রচেষ্টায় মসজিদটি নির্মিত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে মসজিদটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকা। এছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণে নতুন বরাদ্দ আসার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নবনির্মিত মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্রের নিচ তলায় রয়েছে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লাশ গোসলের কক্ষ, চলাচল অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নামাজের জায়গা ও প্রতিবন্ধী কর্নার, ডায়নিং রুম, কার পার্কিং, অযুখানা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের বুক সেলস সেন্টার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেম, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষ, মহিলাদের নামাজের জায়গা, মক্তব, গার্ড রুম, আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার,অতিথি কক্ষ, ইসলামিক রিচার্জ সেন্টার, কনফারেন্স রুম, টয়লেট, অযুখানা, উপ-পরিচালকের কক্ষ, হিসাব নিরীক্ষকের কক্ষ। এছাড়াও এই মডেল মসজিদের সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন মিনার, মেহরাবসহ সিঁড়ি রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিলেটের গণপূর্ত বিভাগ-৩ এর উপসহকারী প্রকৌশলী রিপন দেব জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ১টি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় গোয়াইনঘাটেও অনুরূপ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অনন্য উদ্যোগ। গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসী অধির আগ্রহে এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্ভোধনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গোয়াইনঘাট উপজেলায় ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতির কেন্দ্র বিন্দু হিসাবে কাজ করবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘গোয়াইনঘাট মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতারই অংশ। জনগণকে সেবা দেওয়াই সরকার এবং আমাদের উদ্দেশ্য। আমি সব সময়ই জনগণের জন্য কাজ করে আসছি, ভবিষ্যতেও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবো। নিশ্চয়ই এই মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র ধর্মপ্রাণ মানুষের কাজে লাগবে।’