ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োলের খোকোবাড়ি গ্রামে বাংলাদেশি এক মেয়েকে বিয়ে করা ইতালির সেই নাগরিক আলী সান্দ্রো চিয়ারোমন্তে পালিয়ে গেছেন।
নববিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসা নিয়ে আসার কথা বলে ইতালি ফিরে যান আলী সান্দ্রো।
কিন্তু সেখানে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ইতালির ওই নাগরিক।
এদিকে ইতালি ফিরে গিয়ে বাংলাদেশি নববিবাহিত এ স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করায় মেয়ের পরিবারে চলছে হতাশা।
ইতালির সেই যুবক পরিবারকে না জানিয়ে বাংলাদেশে এসে গোপনে বিয়ে করেছেন। সামজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার।
আলী সান্দ্রো চিয়ারোমন্তে ইতালির লোম্বারদিয়া (মিলান) বুস্তো গারল্ফো এলাকায় বসবাস করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতালিতে তার স্ত্রী এবং ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আলী সান্দ্রো পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তার এক বাংলাদেশি সহকর্মীর সঙ্গে এদেশে আসেন। পরিবারের লোকজনকে বলেছেন কাজের জন্য তাকে কিছুদিন অন্য এক শহরে গিয়ে থাকতে হবে। কিছুদিন পরে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তিনি বাংলাদেশে গিয়ে ওই সহকর্মীর ভাতিজিকে বিয়ে করেছেন।
আলী সান্দ্রো ইতালিতে ফিরে গেলে পরিবার তার বিয়ের কথা জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানায় মেয়ের পরিবার ওই মেয়েটিকে বিয়ে করে ইতালিতে আনার বিনিময়ে তাকে মোটা অংকের টাকা দেবে।
এ ঘটনায় তার আগের স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে গেছেন বলে জানা যায়।
আলী সান্দ্রোর ইতালির স্ত্রীর ভাই সোস্যাল মিডিয়ায় পাওয়া একটি ভিডিও (বাংলা ভাষা) বুঝতে না পেরে প্রতিনিধিকে দেখিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চান।
আলী সান্দ্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তবে ইতালিতে তার স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে সেটা নিশ্চিত করেছেন তার পরিচিত অনেকে।
জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ সোমবার রাতে বালিডাঙ্গা উপজেলার ২ নম্বর চাড়োল ইউনিয়নের খেকোপাড়া গ্রামে দিনমজুর মারকুস দাসের মেয়ে রত্না রানী দাসকে সনাতন ধর্মের রীতি অনুসারে বিয়ে করেন ইতালির যুবক আলী সান্দ্রো।