নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

শাওন হত্যায় মামলার আবেদন রুহুল কবির রিজভীর

নিজস্ব সংবাদদাতা
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৩২

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ‘যুবদল কর্মী’ শাওন নিহতের ঘটনায় পুলিশ সুপারকে আসামি করে মামলার আবেদন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ রোববার সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেলকে। সেই সঙ্গে প্রধান আসামি করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনককে।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনক, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশ সদস্য শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আপনারা সবাই জানেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শলা-পরার্মশ করে অতর্কিতভাবে পেছন থেকে হামলা করে গুলিবর্ষণ করে। মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। কিন্তু তার নামে পিস্তল বরাদ্দ ছিল। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে হত্যাযজ্ঞে অবতীর্ণ হয়ে মরদেহ উপহার দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শাওন নামে যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। পুলিশের এই সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদে আমরা মামলার আবেদন করেছি। আশা করি, আদালত মামলা গ্রহণ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।’