সব ধর্ম-বর্ণের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে অসাম্প্র্রদায়িক ও জনগণের বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেবী দুর্গার আবির্ভাব অসত্যকে পরাজিত করে সুন্দর প্রতিষ্ঠায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন শেষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এ যুদ্ধের লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তি ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং নতুন ভূখণ্ড তৈরি করে একটি গণতান্ত্রিক ও মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার, যে রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে থাকব। সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। মোটা কাপড়, মোটা ভাত খেয়ে মাথার ওপর একটা ছাদ নিয়ে সবাই মিলে আমরা একটি সুখী-সমৃদ্ধির সমাজ গড়ে তুলব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করেন, 'আমরা কি সত্যিকার অর্থেই এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?' না। সত্যিকার অর্থেই আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার রক্ষার বাংলাদেশ দেখতে চাই। সর্বোপরি একটি সুখী-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখতে চাই।
তিনি বলেন, হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষ একই বৃন্তে নতুন ফুলের মতো প্রস্ম্ফুটিত ও বিকশিত হয়েছি। বাস করেছি মিলেমিশে। সেই সমাজ ও দেশকে নষ্ট হতে দিতে পারি না। আমাদের বয়স হয়েছে, যাওয়ার পথে। আজ বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণ ও যুবসমাজের দায়িত্ব অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, উৎসবের দিনে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি আমার শৈশবে পূজামণ্ডপে নাটক করেছি। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বিজয়ার আনন্দ উপভোগ করেছি। এই চেতনা আমার দলও বিশ্বাস করে।
এ সময় বিএনপি নেতা সুশীল বড়ূয়া, মিল্টন বৈদ্য, তরুণ দে, মধুসূদন মধু, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।