জলবায়ু নিয়ে ভাবেন, ভাবনা থেকে সংকট সমাধানে কাজ করেন বিশ্বব্যাপী এমন একশ প্রভাবশালী জলবায়ু যোদ্ধার নাম তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এর সঙ্গে বিশ্বের একশ প্রভাবশালী জলবায়ু ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২ বাংলাদেশি।
তারা হলেন- একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সালিমুল হক ও উপকূল সাংবাদিকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করা বাংলাদেশি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে তালিকাটি প্রকাশ করে বৃটেনের অলাভজনক সংস্থা ‘এপলিটিক্যাল ফাউন্ডেশন’। এ বছর ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম জাতিসংঘ জলবাযু সম্মেলন (কপ২৭ বা কনফারেন্স অব পার্টিজ) উপলক্ষে তালিকাটি প্রকাশ করে উক্ত সংগঠন।
কপ-২৭ হল জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) কনফারেন্স অব দ্য পার্টির ২৭তম সভা। এই বার্ষিক সভাটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশে আলোচনায় বসতে ইউএনএফসিসি কনভেনশনের ১৯৮ জন সদস্যকে একত্রিত করে থাকে।
বৈঠকে, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত প্রভাবগুলির সাথে অভিযোজন, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে সরে আসা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে মানিয়ে নিতে আরো দুর্যোগ সহনশীল হবার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহায়তার পথ চিহ্নিত করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।
যে কারণে এ দুই বাংলাদেশিকে বিশ্বের একশ প্রভাবশালী জলবায়ু যোদ্ধার তালিকায় স্থান দিয়েছে, তার কারণ বর্ণনা করেছে, এপলিটিক্যাল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি লিখেছে, সালিমুল হক ‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের’ পরিচালক। তিনি বৈশ্বিক জলবায়ু প্রশমন এবং অভিযোজন নিয়ে শক্ত ভূমিকার জন্য সুপরিচিত। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের প্রধান লেখক। তিনি মহাকাশ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন এবং বার্টনি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার কাজ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দেয়।
রফিকুল ইসলাম মন্টু যে কারণে নির্বাচিত হয়েছেন, তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, উপকূলীয় জলবায়ু সাংবাদিকতা এবং ফটোগ্রাফির জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত বাংলাদেশি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। তিনি বাংলাদেশের ডুবে যাওয়া উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্ভাসিত প্রভাব নথিভুক্ত করার জন্য নিখুঁত, অবিচ্ছিন্ন লিখে যাচ্ছেন এবং ফটোগ্রাফি করছেন। তার কাজ কপ-২৬ এ জলবায়ু অভিযোজনের জন্য জরুরি যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।