বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের শেষ লোকেশন পাওয়া গেছে কেরানীগঞ্জ। এছাড়া পরশের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার একজন বন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আমরা বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্ত নামে তার দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চার তারিখ বিকেল ৫টার দিকে বুশরা ও পরশের সাক্ষাৎ হয় সিটি কলেজের ওখানে। এরপর তারা রিকশায় করে ইয়ামচা নামে একটা রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করেছে। সেখান থেকে রিকশায় করে তারা নীলক্ষেতে যেয়ে একটা বই কিনেছে।
‘নীলক্ষেত থেকে রিকশায় করে তারা টিএসসি তে যায়। এই টিএসসি পর্যন্ত যাওয়ার সংগতি পাওয়া গেছে মোটামুটি। এরপর বুশরা বলে যে তাকে রাত দশটার দিকে রামপুরার কাছাকাছি ড্রপ দেওয়া হয়েছে।’
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সব সিসিটিভি ফুটেজ আমরা এখনো সংগ্রহ করিনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার বাবার জিডির পর পুলিশের সব ইউনিট মিলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাকে আমরা জীবিত উদ্ধার করতে পারি নাই। আমরা জনসন রোডের লোকেশন পেয়েছি। সর্বশেষ কেরানীগঞ্জে লোকেশন পেয়েছি। সে কেন কেরানীগঞ্জ গেল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবার এখনো মামলা করেনি জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা কোথায় মামলা করবে সেটা এখনো শিওর না।