সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দেশ ছেড়েছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমি দেশ ছেড়ে যাইনি। আমার লাল পাসপোর্ট সরকার বাতিল করেছে। তাই আমার দেশ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।’
এর আগে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।
গত ১০ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ওইদিন দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।
ওবায়দুল হাসান তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজকোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমগুলো রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি।
এই ফুলকোর্ট সভা ডাকাকে ‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ সন্দেহ করে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান।
উল্লেখ্য,২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ওবায়দুল হাসান।