সাবেক আইজিপি শহীদুল ৭ ও আল মামুন ৮ দিনের রিমান্ডে

রিমান্ডে ‘অসুস্থ’ হাজি সেলিম, হাসপাতালে ভর্তি
ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪
সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের ৭ দিনের ও আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল ৭টার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এই দুই সাবেক আইজিপিকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।
পরে আদালত নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের ৭ ও মোহাম্মদপুর থানার মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে জানানো হয়, শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই সরকার আমলে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সরকার পতনের পরদিন তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।

রিমান্ডে ‘অসুস্থ’ হাজি সেলিম, হাসপাতালে ভর্তি
হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে হাজি সেলিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সূত্র জানায়, হাজি সেলিম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ১০৭ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।
হাজি সেলিমকে গত রোববার দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
পরদিন সোমবার আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় লালবাগ থানার মামলায় হাজি সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল পুলিশ।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হাজি সেলিম প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে, তৎকালীন ঢাকা-৮ আসন থেকে। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হাজি সেলিম। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজি সেলিম প্রার্থী হননি। তাঁর বদলে ছেলে সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিমকে ঢাকা-৭ আসন থেকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন।