কিশোরগঞ্জ থেকে ‘অপহৃত’ চিকিৎসক মির্জা নূর কাউসার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছে ডিবি পুলিশ। ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সোমবার নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
এর আগে ওই চিকিৎসকের স্বজনরা অভিযোগ করেন গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কিশোরঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টির সমবায় মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত ‘মেডিক্স কোচিং সেন্টার’ থেকে একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি করা হচ্ছিলো চিকিৎসক মির্জা নূর কাউসারকে। নজরদারি করা হচ্ছিল তার কর্মকাণ্ড। একপর্যায়ে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ডিবি পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ওই চিকিৎসকের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করা হয়।
ডা. মির্জা নূর কাউসার কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজী বিভাগের প্রভাষক। তিনি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামের মির্জা আবদুল হাকিমের ছেলে। ডা. কাউসার শহরের খরমপট্টি এলাকায় বাবা, স্ত্রী ও এক মেয়েসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী ডা. শিমুল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক।