গণহত্যার বিচারে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত থাকতে হবে: রিজওয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:০৬

গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (উপস্থিত) থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে কোনও পদ্ধতিতে তার প্রত্যাবর্তন হবে সেটা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভার পর ফয়েন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে আমরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছি। ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার থেকে নেনিবাচক মন্তব্য শুনতে পাচ্ছি’– এ বিষয় দুটি উল্লেখ করে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন,  শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট। গণহত্যার যে অভিযোগটা রয়েছে তার বিচারের স্বার্থে এবং নির্যাতন-নিপীড়নসহ সর্বোপরি একটি ফ্যাসীবাদী ব্যবস্থার মুখপাত্র হিসেবে বিচারের প্রক্রিয়ায় তাকে থাকতে হবে। কারণ দায়দায়িত্ব এখানে একটা ব্যাপার আছে। সেই প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে। সেই প্রত্যাবর্তনটা কোন প্রক্রিয়ায় হবে, দুই দেশের মধ্যে কীভাবে কথা হবে, সেই প্রক্রিয়া– এগুলো পরের ব্যাপার। যখন আইনি প্রসেসটা শুরু হবে তখন এগুলো আমরা দেখবো।
নেতিবাচক মন্তব্য প্রশ্নে তিনি বলেন, নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্য রয়েছে। আমরা গত ১৫ বছর বেশিরভাগ মানুষই এ দেশে ছিলাম। সেই বাস্তবতাটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমাদের চেষ্টা হবে আমাদের পাশের দেশসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা। তবে সেটা হতে হবে ন্যয্যতা আর সমতার ভিত্তিতে। এটা বার বার স্পষ্ট করা হচ্ছে। এখানে কোনও নতজানু নীতির বিষয় নেই। যেটা আমাদের অধিকার, আমাদের প্রাপ্য এবং যেটা আমাদের বিবেচনায় সঠিক সেই কথাগুলো যে যে চ্যানেলে আমাদের বলা দরকার– তা সেটা কূটনৈতিক হোক, রাজনৈতিক হোক বা ব্যক্তিগত বা আন্তর্জাতিক হোক আমরা সেটা বলবো।